ঘিওরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব তুলেছেন ইউপি সদস্যরা।
দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অনাস্থা প্রস্তাবসহ চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণার আবেদন করেছেন ইউপি সদস্যরা।অভিযোগের অনুলিপি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ ঢাকা, কমিশনার ঢাকা বিভাগ, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়। একজন ছাড়া নালী ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য একমত পোষণ করে এ অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, কাদের বিশ্বাস ইউপির পরপর দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে একতরফাভাবে ইউপি সদস্যদের মতামতের কোনো তোয়াক্কা না করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সব ধরনের দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণরূপে আইনকানুন বহির্ভূতভাবে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এতে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা খন্দকার বুধবার স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ‘নালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে ওই সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে অপসারণের জন্য আমার কাছে আবেদন করা হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরো জানান, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: হাবিবুল ইসলামের নিকট দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউপি সদস্যরা জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান কাদের বিশ্বাস একক সিদ্ধান্তে পরিষদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। পরিষদের সব উন্নয়ন প্রকল্প একক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়ন করেছেন চেয়ারম্যান। শুধু উন্নয়ন প্রকল্পই নয়, পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সদস্যদের মতামত নেয়া হয় না। এছাড়াও তিনি প্রতিনিয়ত সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন।
অনাস্থার বিষয়ে নালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক নয়। সবগুলো অভিযোগই মিথ্যা এবং সাজানো। তবে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসার আলোচনা চলছে।